জিয়াবুল হক, টেকনাফ: [২] দেশের সর্ব দক্ষিণে উপজেলা টেকনাফের সেন্টমার্টিন নৌপথে অবৈধভাবে অনুমোদনবিহীন জাহাজ চলাচল বন্ধে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

[৩] একই সঙ্গে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে চলাচল করা ফিটনেসবিহীন সব জাহাজ ও নৌ-যানের বিষয়ে অনুসন্ধান করে ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নৌপথ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বিআইডব্লিউটিএ-কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

[৪] সোমবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জোসনা পারভীন।

[৫] এর আগে রোববার কক্সবাজার  টেকনাফের দমদমিয়া জেটি ঘাট থেকে সেন্টমার্টিন নৌপথে অবৈধভাবে অনুমোদনবিহীন জাহাজ চলাচল বন্ধে হাইকোর্টে রিট করেন রামপুরার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন চৌধুরী।

[৬] টেকনাফ- সেন্টমার্টিন নৌপথে অবৈধ জাহাজ চলছে শিরোনামে পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদন সংযুক্ত করে হাইকোর্টে রিট করা হয়।

[৭] জানা যায়, নদীতে চলাচলের জন্য তৈরি করা জাহাজ, বিভিন্ন তথ্য গোপন করে একটি অসাধু চক্র বঙ্গোপসাগরের মতো উত্তাল পথে (টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে) পর্যটকদের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা থাকা শর্তেও আইনের তোয়াক্কা না করে বিভিন্ন সংস্থাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জাহাজ পরিচালনা করে আসছে। এসব অবৈধ জাহাজ চলাচলের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে যেকোনো মুহূর্তে মিয়ানমার সীমান্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে করে কক্সবাজারের পুরো পর্যটন শিল্পের উপর প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।